সংগীতকে ভালোবেসে এর পেছনে ব্যয় করেছেন পুরো জীবন। গান গেয়েছেন একাধিক ভাষায়। অথচ এতকালেও সম্মান পাওয়ার যোগ্য মনে করা হয়নি তাকে। তাই ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করলেন প্রবাদপ্রতিম সংগীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

তার চেয়ে কম বয়সিরাও সম্মান পেয়েছেন। তাই এখন আর সম্মানের প্রয়োজন নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফোনেই জানিয়ে দিয়েছেন বয়স ৯০ বয়সি এই শিল্পী। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, মঙ্গলবার ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর শিল্পীর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ফোন আসে দিল্লি থেকে। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে তাকে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। কিন্তু শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দেন— তিনি ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করছেন। এই সম্মান নিতে অপারগ তিনি।

শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ১২ বছর বয়স থেকে গান গাইছেন। সংগীতের পেছনে জীবনের ৭৫ বছর উৎসর্গ করে দিয়েছেন। অথচ এতদিনেও তার মতো সংগীতজ্ঞকে সম্মানের যোগ্য বলে মনে করা হয়নি। বরং তার চেয়ে কম বয়সের শিল্পীদের সম্মানিত করা হয়েছে। আর এ কারণেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন শিল্পী।

১৯৭১ সালে ‘জয়জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা। এ ছাড়া ২০১১ সালে রাজ্য সরকার তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে।

কলমকথা/রোজ